স্বদেশ ডেস্ক :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ওই সময় শিক্ষার্থীদের ফান্ডে ১০ টাকা হাজার টাকা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘আন্দোলনের ফান্ডে টাকাটা দিচ্ছি, এবার আমাকে অ্যারেস্ট করুক।’
এর আগে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে আজ বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ক্যাম্পাসে পৌঁছান মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। সেখানে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এবং অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পে গিয়ে খোঁজ-খবরও নিয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের বিষয়ে তাকে বিস্তারিত জানান।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানিয়ে জনপ্রিয় এ লেখক বলেন, ‘তোমরা কেন তোমাদের জীবন অপচয় করবা? তোমাদের বাঁচতে হবে। তোমরা ইতিমধ্যেই বিজয়ী হয়ে গেছ। সারা দেশের মানুষ তোমাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের ঘুম হারাম করে দিয়েছ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।’
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা যেভাবে সাজাতে চাও, এই ক্যাম্পাস সেইভাবে সাজানো হবে। কিন্তু এখন অনশন ভাঙতে হবে। তোমাদের আন্দোলনের কারণে ৩৪ জন ভাইস চ্যান্সেলরের ঘুম নেই। তোমরা অনশন না ভাঙলে আমিও যাব না। এখানেই থাকব। তোমাদের না খাইয়ে আমি যাব না।’
মুহম্মদ জাফর ইকবাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত অনশনকারীদের সঙ্গে ছিলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর একটা স্মারকগ্রন্থে আমার কাছে একটা লেখা চেয়েছিল। সেই লেখাটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ১০ হাজার টাকা সম্মানি দেওয়া হয়েছে। আমি এই সম্মানির টাকাটা নিয়ে এসেছি। এই আন্দোলনের ফান্ডে এই টাকাটা দিচ্ছি। তোমরা রাখো। এবার পারলে আমাকে অ্যারেস্ট করুক।’
এরপর মুহম্মদ জাফর ইকবাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এর আগে শাবিপ্রবি’র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য করায় সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় খাবারের দোকানও।